আবিরের আবির্ভাব ঘটবে
সায়েন্স ল্যাবের রাতে,
কার্তিকেয় কৃষ্ণপক্ষের মোড়ে।
মৃত্যুর মতো ব্যাপ্ত মিলেনিয়াল শূন্যতায় যখন প্রবেশ করবে আলো⁠—কেউ জানবে না কেন সে এতখানি দৃষ্ট হবে; কেন সে সৃষ্ট হবে এবং পরমুহূর্তেই একটা মৃতদেহ নিয়ে পড়ে থাকবে
মৌহূর্তিক আলো ও তৎপরবর্তী স্তব্ধতা⁠—
এই ছিলো, এই নাই,
শক্তির মতো মুক্তি খোঁজা: প্রভু, নষ্ট হয়ে যাই⁠—
সুতরাং এমনটা হতে পারে যে, আবির অবসোলেট হয়ে যাবে⁠—
উন্মত্ত⁠—
সমস্ত জামা খুলে সে চিৎকার করবে, এবং সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে সে ছুটতে থাকবে উন্মাদের মতো,
এবং
আলোময় ল্যাবএইড
অসিতরঙা কলাবাগান পেরিয়ে প্রত্যাখ্যান
প্রগাঢ় ধানমন্ডি বত্রিশ
প্রদীপ্ত ধানমন্ডি সাতাশ পেরিয়ে ক্রোধ
প্রায়ান্ধকার আসাদগেট ও টোয়াইলাইট কলেজগেট পেরিয়ে চুক্তি
আধো-আলোর শ্যামলী
প্রায়-তমসের কল্যাণপুর পেরিয়ে বিষাদ, বিষাদ, একটা গভীর শূন্য বিষাদ
অস্পষ্ট টেকনিকাল
অন্ধকার মাজার রোড পেরিয়ে গ্রহণ
এবং শেষত, নির্বিকার গাবতলী পার হয়ে সে সম্পূর্ণ অবসোলেশনে প্রবেশ করবে, শাহরিক দৃশ্যময়তা ও শব্দময়তা থেকে সে ক্রমাগত দূরে, এরপর তীব্র দূরে, এরপর অমানুষিক দূরে সরে যেতে থাকবে, তার অপসৃয়মান দেহ অপসৃয়মান ভূমিতে মিলিয়ে যাবে, আর ক্রমাগত আর্তনাদ বিলীন হবে ক্রমাগত বাতাসে, কেবল একটা অস্পষ্ট সিলুয়েট আর রেজোনেন্স স্পৃষ্ট হতে থাকবে অনন্তকাল ধরে,
এবং শহরে প্রবেশ করতে থাকা ট্রাক-বাসের হুংকারে একসময় আবিরের অস্তিত্ব আর অনুভব করা যাবে না।
আর্তনাদ-উৎস: দা ডার্ক সাইড অফ দা মুন
(পিংক ফ্লয়েড, ১৯৭৩)