এবং এভাবেই এটা ঘটবে⁠—
মিতু একইসঙ্গে জন-অরণ্যে ও শব্দহীন সলিচুডে মাথা চেপে বসে থাকবে
তাকে দেখা যাবে
তাকে দেখা যাবে না
প্রতি মুহূর্তে একটা মিতু অদৃশ্য হয়ে আরেকটা মিতু দৃশ্যমান হবে
অন্তর্গত যেই প্রক্রিয়াটুকু তাকে ব্যক্তিগত অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন করতো⁠—সেটা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের মতো পর্যায়ক্রমে জোরালো ও মৃদু হতে থাকবে
সুতরাং⁠—
বি
ষ
ণ্ন
তা
না
মে
ধানমন্ডি আড়াইয়ের মধ্যসন্ধ্যায়
একটা প্রগাঢ় রেস্তোরাঁর কাচে যখন মিতুর ছায়া পড়ে
নশ্বর কাচে নশ্বর ছায়া অল্প অল্প দুলতে থাকে
আরও একটা ক্লান্ত দিনের পর
আরও একবার সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে
বিম্ব থেকে মানুষ ও মানুষ থেকে তার প্রতিবিম্বকে আলাদা করে আর শনাক্ত করা যায় না।
তবু, সকল অচর্চিত অনুচ্চারিতের ঊর্ধ্বে একটা অচর্চিত উচ্চারণ থেকে যায় যে,
রেস্তোরাঁর এইসব আলো জ্বলে স্রেফ মধ্যসন্ধ্যার প্রেক্ষাপটে
সেই সান্ধ্য নীল আরও ঘনিয়ে আরও কালো হয়ে আসে
এবং কাচের দেয়ালে মিতুর মুখ ক্রমশ উজ্জ্বল হতে থাকে
এবং কেবলমাত্র ধানমন্ডি আড়াইজুড়ে মধ্যসন্ধ্যা নেমে আসার বিপরীতেই মিতু স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে শুরু করে।